Blog

আমাদের জীবনে সুগন্ধির মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব

পারফিউম, সেন্ট, বডি স্প্রে, আতর… যেই নামেই চিনি না কেন, উদ্দেশ্যটা কিন্তু এক। আর তা হলো সুগন্ধ বা সুঘ্রাণ ছড়ানো। আচ্ছা আমরা কেন সুগন্ধি ব্যবহার করি? কেবল অন্যদের কাছে নিজের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করতে? কিংবা আকর্ষণ লাভ বা বিরক্তির কারণ না হওয়া? হয়তো বলবেন “সহমত ভাই!”। জি। আসলে এগুলো সবই মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপার। এবং আমাদের মনের উপর সুগন্ধির আশ্চর্যজনক কিছু এফেক্ট রয়েছে। চলুন তো দেখি… পারফিউমের কাঙ্ক্ষিত ঘ্রাণের জন্য নোড কতটা মারাত্মক তারতম্য আনে তা বলাই বাহুল্য। সুঘ্রাণ মেজাজ, একাগ্রতা, স্মৃতি এবং আবেগকে প্রভাবিত করে। ~জাপানি একটি কোম্পানি তাদের গবেষণায় দেখিয়েছে, ল্যাভেন্ডার ও জেসমিনের সুবাস ডেটা এন্ট্রি অপারেটরদের স্ট্রেসকে প্রশমিত করে। আর লেবুর সুবাস তাদের কর্মীদের ৫৪ শতাংশ পর্যন্ত উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে। কর্মচারীদের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে এবং সন্তুষ্টি অর্জন করতেও ভূমিকা রাখে বিভিন্ন ঘ্রাণ। ~চিকিৎসা ক্ষেত্রেও এমআরআই-এর সময় ক্লাস্ট্রোফোবিয়া (সীমাবদ্ধ স্থানের ভয়) কমাতে পারে ভ্যানিলার ঘ্রাণ। অর্থাৎ সুগন্ধির ব্যবহার বেশ চাপের পরিস্থিতিতেও মানুষের উদ্বেগ কমায়। ~ঘ্রাণ শুধু মানসিক চাপ কমায় না, ঘুমকেও প্রভাবিত করে। হেলিওট্রপিন (ভ্যানিলা ও অ্যালমন্ডের মতো গন্ধ) মস্তিষ্ককে শান্ত করতে পারে। বাড়াতে পারে ঘুমও। ~লেবুর সুগন্ধ সৃজনশীল কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ল্যাভেন্ডারের সুগন্ধ আশপাশের মানুষদের প্রতি আরও বেশি বিশ্বাসী করে তোলে। ~ফুলের ঘ্রাণ মেজাজকে নিয়ন্ত্রণ এবং এমনকি নতুন কিছু শিখতে মস্তিষ্ককে সাহায্য করতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *